মোবাইল ফিক্সার থেকে আইফোন কিনে এখন শত শত কাস্টমার জেল খাটছেন বছর ধরে

মোবাইল ফিক্সারের আহমেদ বিন সজিব বিক্রি করেন চুরাই ফোন। ঢাকার যত চুরাই ফোন বিক্রি হয় সব কিনে তিনি তার দোকানে তুলে বিক্রি করেন কম দামে কিনে কাস্টমারদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করেন। এতে ভুক্তভোগী অনেকে জেল খাটছেন এই চুরাই ফোন কিনে। মোতালেব প্লাজার সব দোকানদার বলেন ঢাকার সব চুরাই ফোন বিক্রি করে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়।

 

গত ৫ আগষ্ট ২০২৪ ইং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হোন স্বৈরাচার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনার পদত্যাগের পর একের পর এক বেরিয়ে আসে দলীয় নেতাকর্মী সেলিব্রেটি কনটেন্ট ক্রিয়েটার ইউটিউবারসহ বেশ কয়েকজন সেলিব্রেটির প্রকাশ পায় দেশদ্রোহী কার্যক্রম ।

 

তারমধ্য অন্যতম হলে মাইটিভির পরিচালক বর্তমানে হত্যা মামলার পলাতক আসামী সমালোচিত ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদি।গোপন সূত্রে জানা যায় এরই মধ্য দেশ ত্যাগ করেছেন এই সমালোচিত ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রীদি।

 

সাম্প্রতিক সময়ে অভিযোগ উঠেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে প্রতিহত করতে ও ছাত্রদের উপর আঘাত করতে তৌহিদ আফ্রিদি ও তার বন্ধু ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কে অর্থের যোগান দিয়েছেন তৌহিদ আফ্রিদির বন্ধু ও তার সহচর মোতালিব প্লাজায় মোবাইল ফিক্সার এর কর্ণধার আহমেদ বিন সজিব ।

 

অনুসন্ধানে জানা যায় আহমেদ বিন সজিব মোবাইল ফিক্সার নামে কোম্পানি খুলে সার্ভিসিং এর আড়ালে চোরাই মোবাইল ক্রয় বিক্রয় সাথে সরাসরি জড়িত।

 

কম দামে কিনে অধিক দামে বিক্রি করে চোরাই মোবাইল ক্রয় বিক্রয়ে অল্প সময়ে বণে গেছেন কোটিপতি,ছড়েন ব্যক্তিগত বিলাস বহুল স্পোর্টস কারে।একটি নয় দুইটি নয় বেশ কয়েকটি ব্যক্তিগত বিলাস বহুল গাড়ি ও ফ্লাট রয়েছে সজিবের। সন্ধ্যা নামলে সজিব চলে যান আভিজাত এলাকায় গুলশান বানানীতে ।এই সবই করছেন মোতালিব প্লাজায় অবৈধ চোরাই মোবাইল কয় বিক্রয়ের মাধ্যমে ।

 

বিভিন্ন সময় রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে অভিযান চালাত ডিবি। ডিবি অভিযানে উদ্ধারকৃত দামী মোবাইল গুলো তৌহিদ আফ্রিদীর মাধ্যমে ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদের সাথে কন্ট্রাক করে নিয়ে আসেন মোতালিব প্লাজার ব্যবসায়ী মোবাইল ফিক্সচার কর্ণধার সজিব। সেই চোরাইকৃত দামী মোবাইল গুলোর টার্স ডিসপ্লে খুলে অধিক দামে বিক্রি করেন সজিব তার নিজ্স্ব দোকান গুলোতে।

 

ফোন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার চোরদের কাছ থেকে কম দামে নামি দামি ব্যান্ডের চোরাই মোবাইল ক্রয় করে অধিক দামে বিক্রি করেন মোবাইল ফিক্সেল এর কর্ণধার সজিব খান।সুধু তাই নয় বসুন্ধরা সিটি সহ তার মোবাইল ফিক্সার এর প্রতিটি দোকানে চোরাইকৃত মোবাইল কেনা-বেচা হয় প্রকাশে।

 

আইফোন স্যামসাং শাওমি সহ দেশের নামি দামী ব্যান্ডের মোবাইল গুলো চোরদের কাছ থেকে চোরাইকৃত স্মার্ট ফোন গুলো কম দামে ক্রয় করে মোবাইলের মার্ডারবোড খুলে আলাদা আলাদা অধিক দামে টার্চ ডিসপ্লে বিক্রি করে মোবাইল ফিক্সেজার এর প্রতিটি দোকানে। সজিবের প্রতিটি অবৈধ কাজের সহায়তা করেন সমালোচিত ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদি ।তাই চোরাই মোবাইল ক্রয় বিক্রয়ের অর্ধেক মূনাফা যায় ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদির ফান্ডে ও যুবলীগ ছাত্রলীগের ফান্ডে।

 

নামী দামী ব্যান্ডের চোরাইকৃত মোবাইল অল্প দামে কিনে অধিক মূনাফা বিক্রি হওয়া তে খুব অল্প সময়ে ফুলে ফেঁপে উঠেছে এই সজিব। মাদারীপুরের ছেলে আহমেদ বিন সজিব ।হঠাৎ করে কোটিপতি বণে যাওয়ায় তার এলাকার লোকজনের কাছে জানতে চাইলে অনেকে বলেন ৪/৫ বছর আগে তাদের কিছুই ছিলোনা ৪/৫ বছরে আলাউদ্দিনের আশ্চর্য চেরাগ কিভাবে পেলো তারা এখন নিজেরাই হতভাগ।

 

মোবাইল সার্ভিসিং এর ব্যবসা করে কি নেই সজিবের? রাজকীয় ফ্ল্যাটে বসবাসের পাশাপাশি সজিব ছড়েন অর্ধকোটি টাকার একটি নয় অর্ধকোটি টাকার দুইটি গাড়িতে।কোটি টাকার গাড়ি গুলো নিয়ে সজিব ঘুরেন দেশের বিভিন্ন জায়গায় ।সন্ধ্যার পর সজিব চলে যান তৌহিদ আফ্রিদির গুলশানের জলসা ঘরে সেখানে গিয়ে নাচে গানে মুখরিত করেন উক্ত এলাকা।প্রতিদিন মদ বিয়ার না হলে না যেনো এই উর্থি বয়সের তরুণ ব্যবসায়ী সজিবের ।

 

চলেন ভিআইপি স্পোর্টর্স কার হেরিয়ার ও মাজেন্ডা ব্যান্ডের গাড়িতে যার নাম্বার হলো(ঢাকা মেট্রো গ-৬১০৯) অন্য গাড়ির নাম্বার হলো-ঢাকা মেট্টো ঘ-২১-৮৫২৪)

 

অনুসন্ধানে আরো জানা যায় সজিব খান এর বাড়ি মাদারিপুর হওয়ার সুবাধে মাদারিপুরের আওয়ামীলীগের এমপি শাহজাহান খাঁনের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তদবির করেন । বেশির ভাগ সময় তৌহিদ আফ্রিদি দিয়ে ও বিভিন্ন জায়গায় তদবির করেন সজিব। তদবির এর সুবাধে তৌহিদ আফ্রিদীর সাথে বিগ বাজেটের বেশ কয়েকটি মিউজিক ভিডিও করেছেন সজিব প্রতিটি গানের স্পন্সর করেছেন সজিব ।

 

সুধু তাই নয় অবৈধ উপায়ে ইনকাম এর টাকা দিয়ে বিদেশ ভ্রমন করেন সজিব খান ।ছাত্র আন্দোলন শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরপর আত্মগোপনে চলে যান এই সমালোচিত ব্যবসায়ী সজিব।

 

চোরাই মোবাইলের টার্স ডিস্পেলে কেনার বিষয়ে সর্দোবেষে আমরা তার দোকানে গেলে তার প্রমাণ ও পাই আমরা মোতালিব প্লাজা মোবাইল ফিক্সার এর এক দোকানে গিয়ে তাদের জিজ্ঞেস করি আইফোন আইক্লাউড সেটের ডিসপ্লে আছে উত্তরে তার দোকানের এক কর্মচারী বলে উঠলো সেটের অরজিনাল চাই আছে সেট খুলে দেওয়া যাবে তবে দাম পড়বে ৩০/৩২ হাজার এটার ও সত্যতা পাই আমরা ।

 

অভিযোগ আছে সজিব এর মোবাইল ফিক্সার কোম্পানীটি লিমিটেড বলা হলেও লিমিটেড এর আদৌ কাগজপত্র আছে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান ।কতটাকা সরকার কে ভ্যাট টেক্স দেয় সেটাও অদৃশ্য ।

 

অনুসন্ধানে আরো জানা যায় সজীবের রাজনীতির গুরু মাদারীপুরের সাবেক এমপি সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খানকে গতকাল রাত গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

এরই মধ্য ছাত্র জনতার দাবী উঠেছে ছাত্রদের উপর হামলার উস্কানি ও অর্থ যোগানদাতা সজিবের মোবাইল ফিক্সার সকল দোকান ও তার ব্যবসায়ীর সকল কার্যক্রম স্বাধীন দেশে বন্ধ করে দিতে হবে ও তাকে দ্রুত আইনের আওতা আনা এখন সময়ের দাবী।

 

এই বিষয়ে মোতালিব প্লাজা দোকান মালিক সমবায় সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ আসলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে প্রমানিত হলে আমরা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দিবো।

 

এই বিষয়ে সজিবের মোবইল ফোনে খুদে বার্তা ও ফোন করে কোনো সদউত্তর পাওয়া যায়নি।