অত্যাচারী বাচ্চু সিকদারের জন্তনায় অতিষ্ঠ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গ্রামবাসী অভিযোগ দায়ের

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের চিহ্নিত চোরাকারবারী, ভূমি খেকো, জুলুমবাজ বাচ্চু সিকদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিন গ্রাম বাসি শতাধিক মানুষেরা লিখিতভাবে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার দিন ব্যাপী প্রায় তিন গ্রামের শতাধিক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা সম্মিলিতভাবে জেলার সকল আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অফিসে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় সদর উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের ভৌরব হাঁটি গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু সিকদারের জুলুম অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে এবং বাচ্চু সিকদারের সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। গ্রাম বাসীর পক্ষে এই অভিযোগ দায়ের করেন ইউনিয়নের কামারভিটা গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে মোঃ আনোয়ার এবং একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত মোঃ জামাল মিয়ার পুত্র মোঃ সবুজ মিয়া। এসময় প্রায় শতাধিক মানুষেরা উপস্থিত ছিলেন। জানা যায় পার্শ্ববর্তী ভৈরব হাটি গ্রামের বাচ্চু সিকাদর, পিতা: মঞ্জুর আলী সিকদার, একজন আওয়ামীলীগ নেতা। সে বিগত ৪/৫ বছর আগে ঐ এলাকায় প্রশাসনের নীতিমালা উপেক্ষা করে
একটি নিজম্বপার্ক স্থাপন করে যা বাচ্চু নগর পার্ক নামে পরিচিতি পেয়েছে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায়। পার্ক স্থাপনের পর লক্ষ করে দেখা যায় দর্শনার্থীদের বিনোদনের জায়গার নামে সে ঐ পার্কে অসামাজিক কার্যকলাপ সহ ভারতীয় চুরাই ব্যবসা, মাদক জাতীয় পন্য আদান প্রদানের একটি কেন্দ্রস্থল বানিয়ে রেখেছে। এছাড়াও সে ঐ পার্কে জুর পূর্বক ভাবে অন্যের রের্কডীয় ভূমি এবং অনেকের দখলিয় জমি ক্ষমতাবলে অন্যায় ভাবে দখল করে উক্ত পার্কে সীমানা বৃদ্ধি করে রেখেছে। তিন গ্রামের কৃষকের সুনালী ফসল ধানের ক্ষেত পার্কের উত্তর পার্শে¦ রয়েছে যা প্রতি বছর গ্রামের কৃষক ঐ ফসল ঘরে তুলেন পার্কের উপর অবস্থীত তিন গ্রামের মানুষের যাতায়াতের রাস্তা দিয়ে। পূর্ব পুরুষ হইতে ব্যবহৃত চলা চলের ঐ রাস্তার উপর দিয়ে ছোট ঠেলা ঘাড়ি ও টলি গাড়ি ব্যবহার করে ফসল ঘরে তুলে আসছেন গ্রামবাসী। বর্তমানে ঐ রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করে কৃষকের ফসলী জমি রূপন করতে বা ফসল ঘরে আনতে মারাত্বক ভাবে বাধার সম্মুখিন হচ্ছেন তিন গ্রামের মানুষেররা বাচ্চু সিকাদরের জুলুম অত্যাচারের কারনে। শুধু তাই নয় পার্ক স্থাপনের পর থেকেই স্বাধীন ভাবে চলাচল এবং ফসল রূপনসহ গবাদি পশু মাঠে আনা নেওয়া করতে পারছি না গ্রামবাসী। বাচ্চু সিকদার কর্তৃক রাস্তা বন্ধ করার কারনে। এ বিষয়ে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাকে জিজ্ঞেস করিলে সে সাফ জানিয়ে দেয় পার্কের উত্তর পার্শে অবস্থিত কোন ফসল আনতে রাস্তা দিবে না। অথচ ঐ রাস্তাটি তিন গ্রাম (কামার ভিটা, কান্দাপাড়া, গুদিগাঁও) মানুষের চলা চলের একমাত্র অবলম্বন। উল্লেখ্য যে, ঐ পার্কে প্রতিদিন সন্ধার পরে চলে মাদক, জোয়া এবং বখাটেদের আড্ডার আসর যা সমাজের এক ক্ষতির কারন হয়ে দাড়িয়েছে। দিন দিন ধ্বংশের দিকে ঠেলে দিচ্ছে যুব সমাজকে। বিশেষ করে পার্কে গুরতে আসা দর্শনার্থীরাও পরেন বাচ্চু বাহিনীর ছিনতাইয়ের কবলে।
তার অত্যাচারে যেমন অতিষ্ঠ এলাকাবাসী তেমনি দর্শনার্থীরাও পরেন ছিনতাইয়ের কবলে। বাচ্চু সিকদারের এসব কর্ম কান্ডের ফলে পরিবেশের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি কামার ভিটা গ্রামের যুব সমাজ জুয়া, মদ, মাদক সেবন করে চলে যাচ্ছে ধ্বংশের পথে। এসব বিষয়ে যেই প্রতিবাদ করে তাকেই পরতে হয় বাচ্চু বাহীনির সন্ত্রাসী হামলার মুখে। তার বিরোদ্ধে অনেক বার বিগত দিনের এমপি এড. পীর মিসবাহ, আলহাজ্ব মতিউর রহমানসহ অনেকের কাছে মৌখিক ভাবে গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ দ্বারা যানানো হয়। কিন্তু সে দলীয় ক্ষমাতার বলে বার বার মানুষের উপর জুলুম অত্যাচার করেই চলেছে। তার বিরুদ্ধে কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করিলে তাকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেওয়া হয় বলে ও জানান অভিযোগকারীরা । বর্তমানে অন্তবর্তী কালীন সরকার ক্ষতায় আসার পর ও থামেনি বাচ্চু সিকাদরের অপকর্ম ও জুলুম অত্যাচার। বাচ্চু সিকদারের জুলুম অত্যাচার থেকে গ্রাম বাসীর মুক্তিপেতে এবং তার ব্যাক্তিগত পরিবেশ দুষনকারী পার্কের বিরুদ্ধে নিতিমালা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনসহ গ্রামবাসীর চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি দখল মুক্ত করে ভারতীয় মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, ছিনতাই কারীদের গডফাদার, বাচ্চু সিকাদারের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত গতিতে বাচ্চু সিকদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এমনটাই দাবি তাদের।