সংস্কার-নির্বাচনে আ. লীগকেও চান সজীব ওয়াজেদ

বাংলাদেশে সত্যিকার সংস্কার ও নির্বাচন আওয়ামী লীগকে ছাড়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের দেড় বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন, যদিও এটি তার প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় নিচ্ছে।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, “অন্তত এখন যে আমরা (নির্বাচনের) একটা সময়সূচি পেলাম, এতে আমি খুশি। তবে এ ধরনের নাটকীয় পরিস্থিতি আমরা আগেও দেখেছি, যেখানে একটি অসাংবিধানিক ও অনির্বাচিত সরকার সংস্কারের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছিল।”

তিনি আরও বলেন, “দেশের সবচেয়ে পুরোনো ও সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে আইনসংগত সংস্কার ও নির্বাচন অসম্ভব।”

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন, তিনি প্রতি সপ্তাহে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করছেন। সরকারের স্থিতিশীলতা ফেরানোর চেষ্টায় সমর্থন দিচ্ছে সেনাবাহিনী। বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ও তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি উভয়ই অন্তর্বর্তী সরকার আগস্টে ক্ষমতা গ্রহণের তিন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছে।

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের আগে বিচার বিভাগ, পুলিশ ও আর্থিক খাতের সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা সম্পর্কে কিছু তারা জানায়নি। সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি কমিশন গঠন করেছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় জানিয়েছে, ছয় কমিশনের সুপারিশ পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, “সংস্কার নিয়ে ঐকমত্য তৈরি হলে এবং ভোটার তালিকা প্রস্তুত হয়ে গেলে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।”

ওয়াশিংটনে বসবাসরত সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার যোগাযোগ করেনি এবং তিনিও সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। “দেশের সবচেয়ে পুরোনো ও সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে আইনসংগত সংস্কার ও নির্বাচন অসম্ভব,” বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা গত মাসে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির কাছে আছেন। আওয়ামী লীগের অনেক জ্যেষ্ঠ নেতাকে সংঘাতে ভূমিকা রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যে সংঘাতে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আত্মগোপনে আছেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা।