মোবাইল ফিক্সার লিমিটেডের সজিবের নামে দুদকে মিথ্যা অভিযোগ

 

টেকনিশিয়ান হিসেবে চুক্তিভিত্তিক কাজের মাধ্যমে চাকরি জীবন শুরু করলেও তিনি প্রথমে মোবাইল ফিক্সার নামে একটি শো রুম দেন, এরপর একটা একটা করে বিভিন্ন শপিংমলে দোকান দিয়েছেন। বিভিন্ন ব্রান্ডের দামি গাড়িতে চলাফেরা করছেন। কিন্তু তিনি তার মেধা খাটিয়ে এগুলো অর্জন করেছেন। এতে তার শপিংমলের ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হোন তিনি এত কিছু কিভাবে করছেন।

 

এমন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দায়ের করেছেন কামরুল ইসলাম নামের মোতালেব প্লাজার একজন ব্যবসায়ী। সোমবার দুদকে এই অভিযোগটি জমা দেওয়া হয়। এতে সজিব বলেন, এখানে কামরুল ইসলাম ফায়দা লুটতে চাইছেন আমার কাছ থেকে তিনি মোটা অংকের টাকা দাবি করে বসেন এবং না দিলে প্রাণ নাশের হুমকি দেন।

 

অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, মার্কেটের পুরানো ব্যবসায়ীরা যখন বৈধভাবে ব্যবসা করে ভাঙা সাইকেল ও মোটরসাইকেল নিয়ে মার্কেটে আসেন, তখন চার বছরে সজীব জমাদ্দার মাজেন্ডা ব্র্যান্ড, হ্যারিয়ার ব্র্যান্ড ও স্পোর্টসের মতো বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে মার্কেটে প্রবেশ করেন। এই বিষয় নিয়ে সজিব বলেন, এখানে মূল বিষয় হলো আমার দোকানের জনপ্রিয়তা থাকার কারণে প্রতিনিয়ত কাস্টমার লেগেই থাকে, এতে করে আমার বাড়তে থাকে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এবং ইনফ্লুয়েন্সার দিয়ে আমার মোবাইল ফিক্সার লিমিটেড প্রচারণা চালিয়ে আরও বেশি কাস্টমারের কাছে আমার প্রতিষ্ঠান তুলে ধরেছি। এতে করে দিন দিন আমার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে।

 

লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, সজীব যে গাড়িগুলো ক্রয় করেছেন যার বাজার মূল্য ৩৫ লাখ টাকা কিন্তু অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যার গড় মূল্য ৬০ লাখ টাকা এটি পুরোপুরি একটি মিথ্যা যা সাজানো একটি নাটক। সজীব নিজ ন যার নাম দিয়েছেন মোবাইল ফিক্সার। সজিব বলেন, মোতালিব প্লাজা শপিং কমপ্লেক্সে আমি ১টি দোকান ভাড়া নিয়েছি কিন্তু অভিযোগে উল্লেখ করা ১০টির অধিক দোকান ভাড়া নিয়েছি এটিও পুরোপুরি সাজানো নাটক।

 

সজীব ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদির মাধ্যমে সমালোচিত সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদের সঙ্গে সখ্য গড়েন বলে অভিযোগ উঠেছে কিন্তু তিনি বলেন আমি কখনো ডিবি হারুন সাহেবের সাথে আমার কথাই হয় নি।

 

সজব আরও বলেন, আমি বেশিরভাগ দোকান ব্যাংক লোন নিয়ে করেছি এবং আমার কয়েকজন বন্ধুর কাছ থেকেও টাকা ধার নিয়ে করেছিলাম। যার সম্পুর্ন প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে এবং ব্যাংক তো আর মিথ্যা বলবে না। তিনি বলেন, আমার ব্যবসার লাভজনক হতে দেখে হিংসায় জ্বলতে থাকেন কামরুল ইসলাম।