মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধে ছাত্রজনতার বিক্ষোভ মিছিল

জগন্নাথপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবীতে ছাত্রজনতা বিক্ষোভ মিছিল ও ইউএনও অফিস ঘেরাও কর্মসূচী পালন করেছেন। এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। 

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে “কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ” নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবীতে ২৩ শে আগষ্ট দুপুরে ছাত্রনেতা মামুনুর রশীদ, শামসুল ইসলাম জাবির, মারজান চৌধুরী ও ইমন আহমেদ এর নেতৃত্বে ছাত্রজনতার একটি বিক্ষোভ  মিছিল জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্ট থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনস্থ “কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামক ব্যবসা” প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার পাশাপাশি এই প্রতিষ্টানের সাথে প্রশাসনের চুক্তি বাতিল সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অপসারণ চেয়ে মিছিল দিতে থাকে। এসময় সেনাবাহিনীর সদস্য ও থানা প্রশাসনের সদস্যরা মিছিল স্থলে পৌঁছে ছাত্রজনতাকে শান্ত করেন।এবং বিষয়টি আইনানুগ ভাবে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এমন আশ্বাসে ছাত্রজনতা স্থান ত্যাগ করলেও এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রজনতা শান্তিপূর্ণ ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করবেন বলে জানা গেছে। এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। 

এব্যাপারে একাধিক ছাত্রজনতা একান্ত আলাপকালে তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকাকে বলেন, সারাদেশের মতো জগন্নাথপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন রাস্ট্রীয় সম্পদ। সুন্দর -মসৃন এই ভবনটি মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্য বহন করছে। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নিজ স্বার্থ হাসিলের তাগিদে আওয়ামী দুঃশাসনকালে ভবনটি লিজ নিয়ে এই ভবনে” কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার” নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে সৌন্দর্য নষ্ট করার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করছে। তাই রাস্ট্রীয় সম্পদ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মুক্ত রাখতে ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে আমরা বর্তমান সরকারের প্রতি জোরদাবী জানাচ্ছি।  এছাড়াও আমরা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনে দায়িত্বরত ইউএনওকে অবহিত করার পরও তিনি রহস্য জনক ভাবে আমাদের সাথে টালবাহানা করছেন। আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-বশিরুল ইসলাম এর অপসারণ এর দাবী জানাচ্ছি। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, এই ভবনে অবস্থানরত কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে।