পোশাকশিল্পে অস্থিরতা অব্যাহত, বন্ধ ২৫৭ কারখানা

অবাংলাদেশের পোশাকশিল্পে অস্থিরতা অব্যাহত রয়েছে। শ্রমিক অসন্তোষের কারণে সাভার-আশুলিয়া ও গাজীপুরের ২৫৭টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে ৯৪টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে মালিকপক্ষ।

গত দুই সপ্তাহ ধরে শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ চলছে। শ্রমিকরা হাজিরা বোনাস ও টিফিন ভাতা বৃদ্ধি, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, এবং সমানুপাতিক হারে নারী ও পুরুষ শ্রমিক নিয়োগের দাবি জানাচ্ছেন। এই বিক্ষোভের ফলে সাভার-আশুলিয়া অঞ্চলে ২১৯টি কারখানা বন্ধ রয়েছে, যার মধ্যে ১৩৩টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এবং ৮৬টি কারখানা শ্রম আইন অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানিয়েছেন, শ্রমিকদের অনেক দাবি যৌক্তিক হলেও সব দাবি পূরণ করা সম্ভব নয়। তিনি আরও জানান, শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং প্রয়োজনে ব্যাংকগুলো ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহযোগিতা করবে।

বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “শিল্প তার সক্ষমতা অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। শিল্প বেঁচে থাকলে দেশের অর্থনীতি সচল থাকবে।”

শ্রমিক অসন্তোষের কারণে বিদেশি ক্রেতারা অর্ডার কমিয়ে দিয়েছেন, যা দেশের পোশাকশিল্পের জন্য বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।